বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ এনে জমি দখলমুক্ত করার দাবিতে অনশনে বসেছেন বেলায়েত হোসেন নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তিনি অনশন শুরু করেন।
বেলায়েত হোসেন পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বেলায়েত হোসেন অভিযোগ করেন, পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কাকচিড়া-লেমুয়া সড়কের দক্ষিণ পাশে তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করছেন বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন।
বিজ্ঞাপন
বেলায়েত হোসেন বলেন, 'দুপুর ১টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি এসে হুমকি-ধমকি দিয়ে ব্যানার ছিড়ে উঠিয়ে দেন। পরে স্থান পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বটগাছের নিচে পুনরায় অনশনে বসি। '
বেলায়েত হোসেন বলেন, ৩.৫০ শতাংশ জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে বণ্টন মামলা বিচারাধীন। ওই মামলায় সম্প্রতি জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করে আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। কিন্ত আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্থানীয় সাংসদ তাঁর অনুসারী কাকচিড়ার বাসিন্দা মাহবুবকে দিয়ে ওই জমিতে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন। তিনি এতে বাধা দেওয়ার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা কথা হয়। কিন্ত গত রবিবার দুপুর ১টার দিকে তিনি তাঁর জমিতে গিয়ে দেখতে পান, সেখানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছেন। পরের দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি পাথরঘাটা থানায় জমি দখলের বিষয়টি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করে। এর মধ্যে বেলায়েত হোসেনের ভাই অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যান। ফিরে এসে গতকাল বুধবার দেখতে পান ওই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সাংসদ রিমন। নিরুপায় হয়ে অনশনে বসেছেন। জমিটুকু ছাড়া কোনো সম্বল নেই বলে দাবি করেন বেলায়েত হোসেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বেলায়েত হোসেন অভিযোগ দিলে তাঁর জমির মালিকানা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আমি বেতাগী থানা পরিদর্শনে এসেছি। সেখান থেকে ফিরে বৃদ্ধের অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
জমি দখলের বিষয় জানতে চাইলে সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, বেলায়েত হোসেন যেসব অভিযোগ করেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমি কেন তাঁর জমি দখল করতে যাব। তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন আমিও আমার কাগজপত্র থানায় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু বেলায়েত হোসেন তো তাঁর কোনো কাগজপত্র থানায় দিচ্ছেন না। অনশনের বিষয়টি বিষয়টি পুরোপুরি 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র'।