বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করেছে অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটির দুই সদস্য মঙ্গলবার সরেজমিন এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান। তদন্ত চলাকালে ভুক্তভোগী কয়েক শ মানুষ হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে শরণখোলা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহিমা আক্তার হাসি এবং খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে রোগী না দেখা, সাধারণ মানুষ, রোগী, হাসপাতালের ডাক্তার ও স্টাফদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, করোনার নমুনা পরীক্ষায় টাকা গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা অভিযোগকারী, ভুক্তভোগী এবং হাসপাতালের ডাক্তার ও স্টাফ প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বক্তব্য শুনেছি। দু-একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে দাখিল করা হবে। এসব অভিযোগের একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে আশা করি।
অভিযোগ এবং তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এক ইউপি চেয়ারম্যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে যে সব বিষয় তারা উল্লেখ করেছেন তার কোনো ভিত্তি নেই।