শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহেমদকে দেখতে এসে ফিরে গেলেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় খাবার নিয়ে উপাচার্যকে দেখতে যাওয়ার মুহূর্তে তার বাস ভবনের গেইটে শিক্ষকদেরকে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনে অনশনকারীদেরও জন্যও খাবার নিয়ে এসেছেন তারা।
তবে অনশনকারীরা খাবার গ্রহণ না করে উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকদেরকে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় শিক্ষক সিমতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাশ বলেন, উপাচার্য কয়েকদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমাদেরকে ভেতরে যেতে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি। তবে তাঁরা আমাদেরকে ভেতেরে যেতে দেননি। তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানায়। আমরা বলেছি, আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু সমাধান করা সম্ভব। আমরা তাদেরকে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, আমাদের সহপাঠীরা যখন অনশনে বসেছে, খাবার না খেয়ে আছে তখন তাদেরকে দেখার জন্য কেউ আসেনি। উপাচার্যের বাসায় একদিন বিদ্যুৎ না থাকায় সবাই তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসতেছে। আমাদের কথা কেউ ভাবে না।
তারা আরো বলেন, পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এটা নিয়ে শিক্ষক সমিতির অনেকদিন পর বিবৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে আমরা যখন উপাচার্যের বাসায় বিদ্যুৎতের লাইন বন্ধ করে দিই তখন সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক সমিতি নিন্দা জানিয়েছে। এ থেকে স্পষ্টত শিক্ষকরা আমাদেরকে কতোটুকু ধারণ করেন। তারা মুখেই শুধু আমাদেরকে সন্তান পরিচয় দেন। বাস্তবিক অর্থে তারা তা ধারণ করেন না।
গত ২৩ জানুয়ারি রাত ৮টায় এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।