খুব ধীরগতিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে
ময়মনসিংহের ভালুকায় বাকপ্রতিবন্ধী খসরু মিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরের পাশ থেকে প্রায় ৯ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নেওয়া হয়। সেখানে মাটি ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ডাকাতিয়া গ্রামে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ের অর্থায়নে ‘যার জমি আছে, ঘর নাই।
বিজ্ঞাপন
পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুনের নজরে আসে। পরে তিনি ঘরটি রক্ষার জন্য কেটে নেওয়া মাটি সাত দিনের মধ্যে ভরাট করে দিতে কিছমত আলীকে নির্দেশ দেন। স্থানীয় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কিছমত আলীর কাছ থেকে এ মর্মে মুচলেকা আদায় করেন।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়ে শ্রমিক নিয়োগ করে মো. খোরশেদ উদ্দিনের ঘরের পাশ থেকে কেটে নেওয়া মাটি ভরাট করতে শুরু করেন কিছমত আলী।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিছমত আলীর দুজন শ্রমিক খোরশেদ উদ্দিনের জমির সীমা থেকে কেটে নেওয়া মাটি ভরাট করছেন। তবে কাজ খুবই ধীরগতিতে এগোচ্ছে। ওই সময় কথা হলে স্থানীয়রা জানান, একেই বলে ‘ঠেলার নাম বাবাজি। ’ এক ঠেলাতেই গায়ের জোরে কেটে নেওয়া মাটি ভরাট করে দিতে হচ্ছে। তাদের দাবি, বসতবাড়ি থেকে প্রতিবন্ধীকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যেই কিছমত আলী ওই কাজটি করেছেন। তা ছাড়া, ৮-৯ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নেওয়ায় খোরশেদ উদ্দিনের পাশের আমজাত হোসেনের বাড়িটিও বৃষ্টিতে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে খোরশেদ উদ্দিনকে টিনের ঘর ও টয়লেট বানিয়ে দেয় সরকার। খোরশেদ উদ্দিনের বাড়ির পাশের মাটি ভরাটের কাজের গতি খুবই ধীর এবং আরো বেশি খুঁটি এবং জিও ব্যাগ না দিলে তার বাড়ির পাশের ভরাট করা মাটি বৃষ্টি হলেই ধসে যেতে পারে।
এ বিষয়ে কিছমত আলী জানান, অন্য কারো নয়, তিনি তার জমি থেকে মাটি কেটেছেন। জমিতে ধান ফলানোর জন্য তিনি উঁচু জমির মাটি কেটে নিচু করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন জানান, বিষয়টি তার নজরে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাটি ভরাট করা না হলে কিছমত আলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।