<p>লক্ষ্মীপুর বেসরকারি নিউ আধুনিক হাসপাতালে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছাড়াই অপারেশন করায় প্রসূতি শিমু আক্তারের মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিভিল সার্জন আব্দুল গফ্ফারের অবহেলায় এ প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ। </p> <p>ঘটনার পর শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালের দরজা-জানাল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত শিমু সদর উপজেলার শাকচর গ্রামের সরকারি কর্মচারী মো. লাভলুর স্ত্রী। তবে নবজাতক সন্তান সুস্থ রয়েছে।</p> <p>স্বজনরা জানান, লাভলুর স্ত্রী শিমুর প্রসব ব্যথা উঠলে তারা প্রথমে তাকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে শিশুর অবস্থান উল্টো থাকায় তাকে নিউ আধুনিক ভর্তি করা হয়। সেখানে বিকেল সিজার করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার প্রসূতিকে অস্ত্রোপাচার করেন। কিছুক্ষণ পর নবজাতককে স্বজনদের কোলে তুলে দেওয়া হয়। এরপর অন্য এক প্রসূতিরও অস্ত্রোপচার করেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু প্রসূতি শিমুর অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে লুকোচুরি করে।</p> <p>স্বজনদের সন্দেহ হলে শিমু স্ট্রোক করেছে জানিয়ে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লায় স্থান্তান্তর করে। পরে শিমুর মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন পরিবার। খবর পেয়ে শিমুর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এ সময় হাসপাতালের একটি কক্ষে তালা লাগিয়ে স্বজন পরিচয়ে রাশেদসহ একাধিক লোক সমঝোতার বৈঠকে বসেন।</p> <p>নিহতের মা জেসমিন বলেন, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনায়, চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছাড়াই অপারেশন করায় তাকে জীবন দিতে হয়েছে। সিভিল সার্জন সার্জারি না হয়েও অপারেশন করেন কীভাবে? জানতে চেয়েছেন জেসমিন।</p> <p>লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) ওয়াদুদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল গিয়ে স্বজনদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। পরে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দিয়েছি। </p> <p>এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন আবদুর গফ্ফার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছিল অপারেশন থিয়েটারে।' পরে কথা হবে বলেই এড়িয়ে যান তিনি।</p>