<p>মাদারীপুরে প্রায় ১০ বছর ধরে একটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের সেতুটির বিভিন্ন স্থানে পলেস্তরা খসে পড়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।</p> <p>বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর বাঁশের মাচা বিছিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে এলাকাবাসী চলাচল করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়েই হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত মাদারীপুর শহর, স্থানীয় হাট-বাজার, স্কুল, মাদরাসা, হাসপাতালে যাতায়াত করছেন। সেতুটি নির্মাণ হলে এই এলাকার মানুষের জীবনমানের ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার সেতুটি পুনঃনির্মাণের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, সেতুটি নির্মাণ করার জন্য তারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। </p> <p><img alt=\"\" src=\"http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/November/26/Madariur-Atm-baza.jpg\" style=\"height:483px; width:800px\" /></p> <p>সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মৌলভীর খালের ওপরে এটিএম বাজার সংলগ্ন এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছেন। প্রায় ১০ বছর আগে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে পলেস্তরা খসে পড়তে থাকে। এখন মূল ব্রিজের ওয়াকওয়েতে অন্তত ৫টি স্থানে বড় গর্তের মতো হয়ে গেছে। এতে সেতুটি দিয়ে এলাকাবাসীর পাশাপাশি ৩টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর বাঁশের মাচা বিছিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে এলাকাবাসী চলাচল করছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন।</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদ কামাল বলেন, আমাদের এলাকার ভেতরের এই সেতুটি জরুরি অবস্থায় নতুন করে নির্মাণ করা দরকার। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আমরা বাধ্য হয়ে বাঁশ বিছিয়ে এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করি। একই ধরনের কথা বললেন এই এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা।</p> <p>চরগোবিন্দপুর উত্তরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার বলেন, সেতুটি যখন পার হই, তখন ভয় লাগে। কখন পা পিছলে গর্ত দিয়ে নিচে পড়ে যাই। </p> <p>চরগোবিন্দপুর ইউকে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আফজাল হোসেন বলেন, আমার এক বন্ধু সেতুর ভাঙা অংশ দিয়ে পড়ে গেছিল। তাই যখন সেতু পার হই, তখন ভয় লাগে। আমরা দ্রুত একটি সেতু চাই। সেতুটি নির্মাণ হলে আমাদের গ্রামবাসীর অনেক উপকার হবে।</p> <p>প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ৫০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় ফরাজীকান্দি, মাঝেরকান্দি, মাদবরকান্দি, ডিগ্রী খোয়াজপুর, ভসারচরসহ ৭টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়।</p> <p>স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাদল বেপারী বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কয়েকবারই সেতুটি নির্মাণ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কিন্তু বরাদ্দ আসে না, তাই সেতুটির নির্মাণ করা শুরু হয় না। </p> <p>তবে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানালেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। প্রকল্পটি পাস হয়ে এলে নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী জুনে অর্থ বরাদ্দ পেলে আমরা সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করে দেবো।</p>