<p>ঠাকুরগাঁওয়ে শ্বশুড়বাড়ি স্ত্রীকে দেখতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জামাতা নাসিরুল ইসলাম। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাণীশংকৈল উপজেলার ভাঙ্গবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাসিরুল ইসরাম রাণীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।</p> <p>শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে শাশুড়ি সেলিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাসিরুলের বাবা খলিলুর রহমান এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষিদের শাস্তি দাবি করেছেন।</p> <p>রাণীশংকৈল থানার এসএম জাহিদ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ভাঙ্গবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা করিমুলের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নাসিরুলের। দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকার পর ৯ সেপ্টেম্বর তারা দুজনে গোপনে কোর্টে বিয়ে করে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করতে থাকেন। এদিকে, বিয়ের ঘটনাটি মেয়ের পরিবার মেনে না নিয়ে উল্টো ছেলের পরিবারকে দোষারোপ করে।</p> <p>একপর্যায়ে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলের পরিবারকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং বিয়ে মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রতি দেয়। পরবর্তীতে ছেলের পরিবার এবং মেয়ের পরিবারের অভিভাবকরা একত্রিত হয়ে নাসিরুল ও তার স্ত্রীকে নারাণগঞ্জ থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নিয়ে আসেন। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে নাসিরুল তার নিজ বাসায় ও মেয়ে তার বাবার বাসায় অবস্থান করতে থাকেন।</p> <p>২০ সেপ্টম্বর বিকেলে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে শ্বশুর-শাশুড়িসহ মেয়ের পরিবারের লোকজন নাসিরুলকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানোর কারণে যন্ত্রষায় নাসিরুল চিৎকার করতে থাকে এবং অজ্ঞান হয়ে পরে। তার চিৎকারে একজন প্রতিবেশী ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাসিরুলকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) নাসিরুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যালে রেফার্ড করেন।</p> <p>এসএম জাহিদ ইকবাল আরো জানান, নাসিরুলের বাবা খলিলুর রহমান মৌখিক অভিযোগ করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের রাাওতায় আনা হবে।</p>