<p>লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলে যোগ দিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্যের একটি দল চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক।</p> <p>এ সময় রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক বলেন, ভূ-মধ্যসাগরের দেশ লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের নৌবাহিনীর সদস্যদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। গত ১২ বছর ধরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে সুনামের সাথে। লেবাননের সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি ভূ-মধ্যসাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজের সুরক্ষা এবং চোরালান প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখে আমাদের নৌবাহিনীর সদস্যরা। আমাদের মত আরো পাঁচটি দেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের নৌবাহিনীর সদস্যদের লেবাননে পাঠিয়েছে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের (ব্যানকন-১২) এর আওতায় লেবাননে মোতায়েন করা বানৌজা সংগ্রামে যোগ দেবেন নৌসদস্যরা।</p> <p>রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক বলেন, ভূ-মধ্যসাগরের মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি লেবানীজ নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানে কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই গর্বিত অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করছে।</p> <p>এ সময় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর ৩৫ জন নৌসদস্যের আরেকটি দল লেবানন গেছে।</p>