নদীভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে শেরপুরের নকলা উপজেলার বাছুর আলগী গ্রামের প্রতিবন্ধী হাবিজার অসহায় পরিবার। শেরপুরের ব্রহ্মপুত্রের শাখা দশানী নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে নদীর ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই নদীর পাড়ে অন্যের জমিতে জীর্ণশীর্ণ ভাঙা ঘরে বাস করে এই অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিজা।
বিজ্ঞাপন
শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা ও আশপাশের মানুষের সাহায্য দিয়ে কোনোমতে দিন পার করি। একমাত্র (মিম) মাইয়াডার লিভারের অসুখ। টেকার অভাবে চিকিৎসা করবার পাই না। এর মধ্যে নদীর ভাঙন ঘরের পাশে আইসা পড়ছে। যেকোনো সময় ঘরটা নদীতে ভাইঙ্গা পড়ব। নিজের কোনো জায়গা-জমি কিছুই নাই। রাইতে ঘুম আহে না। চেয়ারম্যানরে কইছি একটা সরকারি ঘর দিতে। হুনছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমগরের মতো অসহায় পরিবারের লাইগা ঘর দেয়।
অসহায় প্রতিবন্ধী হাবিজার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর বরাদ্দের ব্যাপারে জানতে চাইলে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে আমি ওই অঞ্চলের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং অসহায় প্রতিবন্ধী হাবিজা যদি 'ক' শ্রেণির তালিকায় পড়ে, সেই মোতাবেক ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।