<p>নিখোঁজের তিন দিন পর উদ্ধার হওয়া ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের সঙ্গে যে আরো তিন ‘অনুসারী’ ছিলেন তাদের মধ্যে একজন ফিরোজ। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়।</p> <p>শুক্রবার (১৮ জুন) ভোরে তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। ‘সন্ধ্যায় তাকে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় আসার জন্য বলা হলে তিনি থানায় না এসে আত্মগোপন করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।</p> <p>গত ১০ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন আবু ত্ব-হা আদনান। এরপর আলোচনায় আসে ত্ব-হার সঙ্গে আরো তিনজন অনুসারী নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক ইউনিয়নের ছাতিয়ানপাড়ার বাসিন্দা ফিরোজ আলম। তার বাবার নাম আনিছুর রহমান। ফিরোজ নিখোঁজ হওয়ার পর শিবগঞ্জ থানায় গত ১৪ জুন তার বাবা আনিছুর রহমান একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।</p> <p>ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ফিরোজ শিবগঞ্জের মোকামতলা এলাকায় কোনো এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার সকালে খোঁজ পাওয়ার পর তাকে থানায় ডাকা হয়েছে বিষয়টি জানার জন্য। কিন্তু তিনি থানায় না এসে সেখান থেকেই আত্মগোপন করেছেন।</p> <p>ফিরোজের পড়াশোনা কোন পর্যায়ে সে বিষয়টি স্পষ্ট জানা না থাকলেও ওসি বলেন, ফিরোজ আলম আহলে হাদিসের অনুসারী ছিলেন। মতাদর্শগত বিষয়ে তার সঙ্গে হয়তো ত্ব-হার মিল ছিল। পাবর্তীপুরের ইউনাইটেড এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে দেন এক বছর আগে। </p> <p>এরপর থেকে তিনি রংপুর-দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া-আসা করতেন। এখন কোনো কর্ম নেই। এর পরের বিষয় আমাদের কাছে জানা নেই। তিন ভাই-বোনের মধ্যে ফিরোজ বড়।</p> <p>তার বাড়ির পাশেই রেজাউল নামের এক ব্যক্তি রয়েছেন তিনি রাজশাহীর চারঘাটের এক জঙ্গি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে জানান ওসি সিরাজুল ইসলাম।</p> <p>ওসি আরো বলেন, ফিরোজের বাবা ভুল তথ্য দিয়ে থানায় জিডি করেছেন। তিনি রংপুরে নিখোঁজ হলেও তার বাবা জিডিতে উল্লেখ করেছেন শিবগঞ্জের কথা। এই বিষয়টি জানার জন্যই তার বাবাসহ তাকে থানায় ডাকা হয়েছিল।</p>