<p>কক্সবাজারের চকরিয়ায় দ্বিতীয় দফায় আরো ৩০০ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে মুজিব জন্মশতবর্ষের উপহার জমিসহ নতুন বাড়ি। আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে একযোগে বাড়ি হস্তান্তরের সময় চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫টি ইউনিয়নের গৃহহীন ও ভূমিহীন এসব পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে নতুন আবাস। এদিন থেকে তারা মুজিব জন্মশতবর্ষের উপহারের নতুন বাড়িতে মাথা গোঁজার ঠাই পাবেন।</p> <p>উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ৩০০ উপকারভোগী গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। উপকারভোগী এসব পরিবারের নামে এর মধ্যে কবুলিয়ত দলিল এবং খতিয়ানও সৃজন করা হয়েছে। আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রীর একযোগে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে তাদেরকে নতুন বাড়িতে তুলে দেওয়াসহ কবুলিয়ত দলিল এবং খতিয়ান হস্তান্তর করা হবে। এ উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় সকাল ৯টায় বাড়িসহ যাবতীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করার চূড়ান্ত প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।</p> <p>সূত্র আরো জানায়, আগামী রবিবার উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫টি ইউনিয়নের ৩০০ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে নতুন এই বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। এর আগে প্রথমদফায় তিন ইউনিয়ন খুটাখালী, ডুলাহাজারা ও ফাঁসিয়াখালীর ৮০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে দেওয়া হয় উপহার হিসেবে নতুন বাড়ি। তৃতীয় দফায় গৃহহীন ও ভূমিহীন আরও ৫০ পরিবার এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আরো ২০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে জায়গাসহ নতুন বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার মাধ্যমে। এজন্য সকল ধরনের দাপ্তরিক কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।</p> <p>চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ কালের কণ্ঠকে বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষের উপহার হিসেবে দ্বিতীয় দফায় আগামী রবিবার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৩০০ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে নতুন বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারাদেশে এসব বাড়ি হস্তান্তর করবেন। এজন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।</p> <p>ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ আরো বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রথম দফায় তিন ইউনিয়নের ৮০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে জায়গাসহ নতুন বাড়ি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে। তৃতীয় দফায় আরো ৫০ পরিবার এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আরো ২০ পরিবারসহ সর্বমোট ৪০০ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।</p>