<p>ঈশ্বরদীতে পৃথক অভিযানে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ জহুরুল প্রামাণিক (৩৪) নামক এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। রবিবার রাতে ও সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের বাঁশেরবাদা বাজার পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই গাঁজা উদ্ধার ও জহুরুলকে আটক করা হয়। আটক জহুরুল ওই এলাকার মজিবার প্রামাণিকের ছেলে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।</p> <p>ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানান, রবিবার রাতে স্থানীয় নজরুল ইসলাম নজু নামের এক ভ্যানচালকের ভ্যানে করে দুই বস্তা গাঁজা আওতাপাড়া বাজার এলাকা থেকে বাঁশেরবাদা বাজার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বাজার পাওয়ার কিছুটা আগেই গাঁজার একটি বস্তা আটক জহুরুল প্রামাণিক নিয়ে পাবনা সদর থানার মাধপুর জামতলা এলাকায় রেখে আসে। অপর গাঁজা ভর্তি অপর বস্তাটি ভ্যানচালক নজু একই এলাকার আফেদ আলীর স্ত্রী জরিনার বাড়িতে রেখে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ জহুরুলের বাড়িতে অভিযান চালান। কিন্তু তার বাড়িতে গাঁজা না পেয়ে জহুরুলের স্ত্রীকে আটকের ভয় দেখিয়ে পুলিশ ভ্যানে উঠানোর চেষ্টা করলে জহুরুল নিজ হেফাজতে গাঁজা রাখার কথা স্বীকার করেন। তখন পুলিশ মাধপুরের জামতলা থেকে প্রথমে চার প্যাকেট করে রাখা ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।</p> <p>পরদিন আজ সোমবার পুলিশ একই এলাকার জরিনার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরো ১৯ কেজি ৪ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। এলাকাবাসীরা আরো জানান, গাঁজার মালিক হিসেবে দরিদ্র করিম কারিকারের ছেলে স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে কাজলী খাতুনের বলে প্রচার করা হলেও পুলিশ তার বাড়ি থেকে কোনো গাঁজা উদ্ধার করতে পারেনি। তবে এলাকার কফছের প্রামাণিকের ছেলে বিলু ও মিজানুরের ছেলে আলমসহ বেশ কয়েকজন গাঁজার এই চালানের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন।</p> <p>ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, ঈদের আগে উপজেলার বাঁশেরবাদায় গাঁজার বড় চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক জহুরুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার জরিনার বাড়ি থেকে আরো ১৯ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।</p>