পদ্মানদীর ঈশ্বরদী লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের নবীনগর, দাদপুর, কামালপুর ও বিলকেদা এলাকায় পদ্মানদী থেকে মাটি ও বালি চুরির দায়ে মাটিভর্তি দুটি ড্রাম ট্রাক জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোররাতে ঈশ্বরদী পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে রূপপুর ফাঁড়ি পুলিশ মাটিভর্তি ড্রাম ট্রাক দুটি জব্দ ও চালককে আটক করে। আটক চালক হলো পাবনা সদর থানার আরিফপুর (হাজিরহাট) এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে আজিম হোসেন (৩২)।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের পরিবারের সদস্য, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই মাটি ও বালি চুরির সঙ্গে জড়িত। এই কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অভিযান চালিয়ে আটক ও মামলা দিয়েও আটকানো যাচ্ছে না বালি ও মাটি চোরদের।
রূপপুর ফাঁড়ির পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) আতিকুল ইসলাম আতিক জানান, পদ্মানদী থেকে বালি ও মাটি চুরি প্রতিরোধে রাত জেগে বিভিন্ন রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে চোর চক্রকে আটক করা হচ্ছে। বালি ও মাটি চুরি প্রতিরোধে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। তারপরও মাটি ও বালি চুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মাটি ও বালি চোররা রাস্তায় পাহারা বসিয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি দেখলেই পালিয়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, পদ্মা নদী থেকে মাটি ও বালি চুরি প্রতিরোধে অভিযান অব্যহৃত রাখা হয়েছে। ড্রাম ট্রাকের পাশাপাশি মাটি ও বালি কাটার কাজে ব্যবহৃত এসকাভেটর জব্দ করা হবে। আটক ড্রাম ট্রাকের এক চালককে পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসমিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ও জনগণের ক্ষতি করে অবৈধভাবে আবাদি জমি ও পদ্মানদী থেকে মাটি বালি চুরি করে বিক্রয়ের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে লাভবান হতে দেওয়া যাবে না। পদ্মানদী ও ফসলি জমি থেকে চুরি করে যে বা যারাই বালি ও মাটি কেটে বিক্রয় করুক না কেন কাউকেই ছাড় নয়।
মন্তব্য