চাঁদপুর ও শরীয়তপুরের নদীভাঙন রক্ষার উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে গিয়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, চলতি বর্ষার আগেই দেশের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ও গুরুত্বপূর্ণ নদীর তীর রক্ষা সম্পন্ন করা হবে। সারা দেশের প্রায় জেলায় এখন অসংখ্য বাঁধ রয়েছে, সেই লক্ষ্যে ১৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার এমন বাঁধ রক্ষায় এখন থেকেই সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর পশ্চিমপাড় আলুর বাজার ও শরীয়তপুরের চরসেনসাস এলাকায় নদীভাঙন রক্ষার উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে গিয়ে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কিংবা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে নয়- শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্ম নিয়েও ভাবেন। তিনি আরো বলেন, মেঘনা নদীতে চাঁদপুর-শরীয়তপুর সেতু কিংবা ট্যানেল নির্মাণে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই এটি এখন স্বপ্ন হলেও সরকারের এই মেয়াদে তা বাস্তবায়ন হবে। তখন নদীপথে ঝুঁকি নিয়ে নয়, সেতু কিংবা ট্যানেল দিয়ে এই দুই জেলাসহ আশপাশের মানুষজন খুব সহজেই চলাচল করতে পারবে। আর এসব কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রসর হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, সরকারের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়ে গেছে। তাই স্থায়ী এবং টেকসই প্রকল্পের দিকে অগ্রসর হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।
চাঁদপুর সদরের ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান খোকা সিকদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফয়জুর রশিদ, কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জহিরউদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুরের তত্ববাধায়ক প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু প্রমুখ।
আপাতত মেঘনার ভাঙন থেকে চাঁদপুর এবং শরীয়তপুর জেলা মিলিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য সাড়ে ছয় কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ চলছে।
মন্তব্য