<p>স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে নিজ মাদরাসার আবাসিক এক ছাত্রীকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে রাতে একাধিকবার ধর্ষণ করেন করেন বলে অভিযোগ মাদরাসাটির পরিচালক ও শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের (৪২) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাতে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার পৌর এলাকার নাগেরপাড়া গ্রামে। পরে গতকাল রবিবার তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের হলে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।</p> <p>মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার মাদরাসা পরিচালক মোখলেছুর রহমান মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ঠেঙ্গেপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি মেলান্দহ পৌরসভার নাগেরপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করেন। ওই বাড়িতেই তিন মিছবাহুল জান্নাত নামে একটি আবাসিক মহিলা কওমি মাদরাসা পরিচালনা করেন। গত ৪ মার্চ রাতে মাদরাসার পরিচালক মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে তিনি তার মাদরাসার আবাসিক কক্ষ থেকে ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে নেন। ওই ছাত্রী ২০১৭ সাল থেকে এই মাদরাসার আবাসিক ছাত্রী। সারারাত আটক রেখে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মোখলেছুর রহমান।</p> <p>মোখলেছুর রহমান ওই ছাত্রীকে রাতের ঘটনা কাউকে না বলার ভয় দেখিয়ে ভোররাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে পাঠিয়ে দেন। পরে সকালে মেয়েটি একই উপজেলার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ওই রাতের ঘটনা তার বাবা-মাকে খুলে বলে। মেয়েটির দরিদ্র কৃষক বাবা ঘটনার তিন দিন পর রবিবার সকালে মেয়েকে সাথে নিয়ে মেলান্দহ থানায় গিয়ে মোখলেছুর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে রবিবার বিকেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাগেরপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে মোখলেছুর রহমানকে আটক করেছে।  </p> <p>এদিকে, আজ সোমবার সকালে গ্রেপ্তার আসামি মোখলেছুর রহমানকে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়। একই সাথে জামালপুর সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।    </p> <p>মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, নিজ মাদরাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ওই মাদরাসার পরিচালক মোখলেছুর রহমানকে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। জামালপুর সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে আজ সোমবার।</p>