<p>চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডিসহ বিভিন্ন পদে নারীদের দায়িত্ব পালনের নজির রয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়টির আরবি বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরেও কোনো নারী শিক্ষক পায়নি। বিভাগের ২২ জন শিক্ষকের মধ্যে কোনো নারী শিক্ষক না থাকার বিষয়টিকে অসমতা বলে মনে করছেন অনেকেই। অন্যদিকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পার হয়েছে। এই বিভাগে ১৬ জন শিক্ষক থাকলেও কোনো নারী শিক্ষক নেই।</p> <p>এই দুই বিভাগের নারী শিক্ষক না থাকার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরা খুব একটা আবেদন করেন না। কেউ আবেদন করলেও পরে পরীক্ষায় অংশ নেন না। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই চাকরি না, বিয়ে করে সংসার সামলাচ্ছেন। তবে বিভাগসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের তুলনায় এখন প্রতিটি বর্ষেই মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আরবি বিভাগে মোট ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৫ জনের মতো মেয়ে শিক্ষার্থী। এদিকে ইসলামিক স্টাডিজের বিভিন্ন বর্ষের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছেন দেড় শতাধিক। তাঁদের মধ্যে অনেক মেয়ে ভালো করছেন। সম্প্রতি পাস করে বের হওয়া যোগ্যতাসম্পন্ন মেয়েরা সামনের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তুলনামূলক কম প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আসতে পারবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।</p> <p>ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগের চেয়ে বর্তমানে মেয়েরা এই বিভাগে বেশি ভর্তি হচ্ছে। বিভাগ যাত্রার শুরুতে যেখানে দুই-চারজন মেয়ে ভর্তি হতো, সে সংখ্যাটা বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০-এ দাঁড়িয়েছে। আমাদের মহিলা শিক্ষক দরকার আছে। সম্প্রতি কয়েক বছরে যোগ্যতাসম্পন্ন কয়েকজন বের হয়েছে। আশা করি তারা সামনে আবেদন করবে।’</p> <p>আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের অনেক ছাত্রী আছে। তাই নারী শিক্ষক প্রয়োজন। এ পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাচ থেকে আট থেকে ১০ জন যোগ্যতাসম্পন্ন মেয়ে পাস করে বের হয়েছে। যারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু তারা বিভিন্ন কারণে হয়তো আসেনি। তবে সামনে নিয়োগে যারা আসতে চাইবে প্রয়োজন অনুসারে তারা বিশেষ সুযোগ পাবে।’</p>