অধাকাংশ সময় এভাবেই বন্ধ থাকে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস। ছবি: কালের কণ্ঠ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একই সঙ্গে নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলার দায়িত্বও পালন করছেন। একজন খাদ্য নিয়ন্ত্রক তিন উপজেলার দায়িত্ব পালন করায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সেবা প্রত্যাশীরা।
জানা গেছে, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইশকে আব্দুল্লাহ ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাশাপাশি নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এতে অধিকাংশ সময় ভূরুঙ্গামারী খাদ্য অফিস বন্ধ থাকতে দেখা যায়। যার ফলে সেবাগ্রহীতাদের সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকাল ১১টায় খাদ্য অফিসে গিয়ে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাগেশ্বরীতে অবস্থান করছেন বলে জানান। অপরদিকে তার অনুপস্থিতির কারণে বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্যনিরাপত্তার জন্য পাঁচ হাজার পারিবারিক সাইলোর তালিকা এখনো প্রস্তুত হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইশকে আব্দুল্লাহ জানান, ‘নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। ভূরুঙ্গামারীতে সপ্তাহে তিন দিন দায়িত্ব পালন করি। তবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা উপজেলায় কাজের চাপ থাকলে ভূরুঙ্গামারীতে অফিস করা সম্ভব হয় না। বন্যাদুর্গতদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পাঁচ ইউনিয়নের সাইলোর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকি পাঁচ ইউনিয়নের তালিকা এখনো প্রস্তুত করা হয়নি।'
মন্তব্য