জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে দুই মাসের অভিযান শুরু হয়েছে আজ। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। অভিযান সফল করতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে এবং মৎস্য বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মধ্যরাত থেকে এই অভিযান শুরু করেছেন।
এদিকে অভিযান শুরু হওয়ায় প্রান্তিক জেলেদের অনেকেই তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। কারণ, তাদেরকে সরকারি যে প্রণোদনা দেওয়া হয় তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এই বিষয়ে জেলা মৎস্যজীবী নেতা শাহ আলম মল্লিক জানান, '৪০ কেজি নয়, অন্তত ৬০ কেজি হারে প্রতি মাসে চাল দেওয়া হলে জেলেদের জন্য কিছুটা উপকারে আসবে।'
অন্যদিকে নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই অভিযান সফল করতে তারা কঠোর অবস্থানে থাকবেন। এতে জাটকা তথা ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বিশিষ্ট মৎস্যবিজ্ঞানী ড. আনিছুর রহমান বলেন, 'চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদী জাটকা বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত জায়গা। ঠিকমতো সংরক্ষণ করা গেলে ইলিশ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই জেলা।'
এদিকে সকাল ৯টায় চাঁদপুরের তিন নদীর মোাহনা থেকে জাটকা সংরক্ষণের বিশেষ এই অভিযানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দাউদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. হেলালউদ্দিন, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. আসাদুজ্জমান প্রমুখ।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, এবার জাটকা সংরক্ষণে কঠোর অবস্থানে থাকবে সরকার। কারণ, গুটিকয়েক বেপরোয়া জেলের জন্য এমন অভিযান ভেস্তে যেতে পারে না। তাই যত ধরনের উদ্যোগ এবং ব্যবস্থা নিতে হয়, সব কিছু করতে প্রস্তুত জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে জাটকা সংরক্ষণ টাস্কফোর্স।
মন্তব্য