<p>নরসিংদীর রায়পুরায় তামান্না আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার অলিপুরা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নির্যাতিতার স্বামী মহসিন ভূঁইয়া ও তার বাড়ির লোকজন পলাতক।</p> <p>নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার এখনো থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।</p> <p>পারিবারিক সূত্র জানায়, ১১ বছর আগে উপজেলার অলিপুরা ইউনিয়নের আব্দুল বারিক ভূঁইয়ার ছেলে মহসিন ভূঁইয়ার সঙ্গে তামান্নার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে পরপর তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তামান্না। একটি পুত্রসন্তানের জন্য স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাতেন মহসিন। </p> <p>পুত্রসন্তানের আশায় এক বছর আগে গোপনে বিয়ে করেন মহসিন। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বিয়ের কথা স্বীকার করেন তিনি। সম্প্রতি ওই স্ত্রীকে ঘরে তোলেন মহসিন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তামান্নার তর্ক হলে বুধবার রাতে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ মিলে গৃহবধূ তামান্নার ওপর নির্যাতন চালায়। এতে তার মাথা ও হাত রক্তাক্ত জখম হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।</p> <p>ভুক্তভোগীর বাবা ফিরোজ মিয়া জানান, নির্যাতনের অভিযোগে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মহসিনের বিরুদ্ধে গত বছর একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে নির্যাতন না করার শর্তে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন স্ত্রী তামান্না। এর পরও নির্যাতন থেমে থাকেনি। বর্তমান স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করেন মহসিন। পরে স্ত্রী তামান্নাকে বাড়ি থেকে বের করতেই গত রাতে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ফিরোজ মিয়া।</p> <p>রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা (পিপিএম) জানান, পুলিশ খবর পেয়ে গত রাতে ওই গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>