আরো ২০১৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। চতুর্থ ধাপের প্রথম দিনে আজ রবিবার দুপুরে রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রবিবার সকালে ও বিকালে দুই ধাপে তারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন তারা।
দুপুর সাড়ে ১২টায় ২২টি বাস ও বিকেল তিনটায় আরো ১৭টি বাস যোগে তারা যাত্রা করেন। ১১টি কাভার্ড ভ্যানে তাদের মালামাল রয়েছে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিরাপত্তা প্রদান করেন। চট্টগ্রামে পৌঁছার পর নৌবাহিনীর তত্বাবধানে আগামীকাল সোমবার তাদেরকে জাহাজে করে ভাসানচরে নেওয়া হবে। কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অফিসের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর তাদেরকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার উখিয়া থেকে আরো হাজার দেড়েক রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে।
গত ৩ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের ভাসানচর যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তিন দফায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চাপ কমাতে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেখানে তাদের জন্য তৈরি করা হয় আধুনিক ও উন্নত মানের ঘর।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাত্রা নিরাপদ করতে ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্তব্য