ভিক্ষুক ইব্রাহিম একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকেন শ্বশুরবাড়ির এক ঘরে। তারও অবস্থা বেহাল। নেই বেড়া, ভেঙে পড়ার অপেক্ষায় টিনের চাল। এ অবস্থায় পরিবারের জন্য আশ্রয় খুঁজছেন ইব্রাহীম। একটি ঘরের জন্য পাঁচ বছর ধরে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
ইব্রাহিমের স্ত্রীও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং একমাত্র মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। এই প্রতিবন্ধী পরিবারের জন্য কোনো সরকারি কোনো সহায়তাও মেলেনি।
একটি ঘরের জন্য ইব্রাহিম জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় গণ্যমান্যদের গিয়েছেন অনেকবার। কোনো আশ্বাস পাননি তিনি। অবশেষে আজ বুধবার এ প্রতিবেদকের দারস্থ হয়ে মানবিক সহযোগিতা কামনা করেন ইব্রাহীম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. ইব্রাহিম মিয়ার (৫৫) পৈত্রিক ভিটা উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামে। তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ১৯৯৪ সালে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হন। পরে চন্ডিপাশা গ্রামের দরিদ্র নুরুল ইসলামের মেয়ে শিউলী আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই শশুরবাড়িতে থাকেন। সেখানে এই ঘরটি ছাড়া আর কিছুই নেই তাঁর।
ইব্রাহিম বলেন, '৫-৬ বছর ধইরা মেম্বার, চেয়ারম্যানের পিছনে ঘুরতাছি একটা ঘরের লাইগ্যা। তাদের কইছি আমি ভিক্ষুক, অন্ধ মানুষ। শশুরবাড়িতে থাহি। হুনছি প্রধানমন্ত্রী গরিব মাইনষেরে জমি আর ঘর কইরা দিতাছে। কিন্তু আমার মত অন্ধরে একটা ঘর কেউ দিল না।'
চন্ডিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুদ্দিন বলেন, তাকে আমি চিনি না। সে আমার কাছে কোনদিন আসেনি। নায়েবের অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন তাকে। সেখানে তালিকা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান তাঁকে ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন ঘর নির্মাণের প্রকল্প আসবে। ওই প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর তাঁর নামে বরাদ্ধ দেওয়া হবে।
মন্তব্য