চৌকিদার সুরুজ আলী
চৌকিদার সুরুজ আলী (৪০)। তার বসবাস এবং কর্মস্থল ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়ন। লোকজনকে মারধর করা তার নিয়মিত অভ্যাস। এর বাইরে এলাকায় জুয়ার আসর চালানো আর মাদক ব্যবসা তার বড় কারবার। মানুষকে নির্যাতনের পাশাপাশি পিটিয়ে মেরে ফেলারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এক খুনের মামলায় আসামি হয়ে বর্তমানে এলাকাছাড়া। তবে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্যে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
এই সুরুজ আলী সর্ম্পকে জানা গেছে, খাগডহর এলাকায় চৌকিদার হওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন তাকে ভয় পায়। পেশার কারণে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং থানা পুলিশের সাথে সখ্যতাকে পুঁজি করে এলাকায় তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। যখন তখন যে কাউকে মারধর করা তার জন্য স্বাভাবিক বিষয়। এলাকায় জুয়া খেলারও হোতা তিনি। এছাড়া মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এতদিন তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ না খুললেও সম্প্রতি একটি খুনের ঘটনায় তিনি ফেঁসে যান। ওই মামলাতে তাকে আসামি করা হয়। তবে খুনের ঘটনার ১ মাস পরও কোতোয়ালী পুলিশ তাকে আটক করেনি। স্থানীয় খাগডহর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
সম্প্রতি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এসে চৌকিদার সুরুজ আলীর নানা অপকর্মের কাহিনী তুলে ধরেন এলাকাবাসী। স্থানীয় শিউলী আক্তার বলেন, তার স্বামী ছিলেন পঙ্গু রিকশাচালক। জমি দখলের উদ্দেশ্যে গত ২৫ ডিসেম্বর তার স্বামী বাবুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চৌকিদার সুরুজ আলীসহ আরো ৬-৭ জন। পরে হাসপাতালে ভর্তির পর তার স্বামী মারা যান। এ ঘটনায় তিনি সুরুজসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের পর তার ওপর আবার হামলার ঘটনাও ঘটে। বিস্ময়ের বিষয় হলো, মামলা দায়েরের পর অদ্যাবধি চৌকিদার সুরুজ আলী গ্রেপ্তার হননি। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে জুয়া খেলা ও মাদক ব্যবসারও অভিযোগ আনা হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি ফরিদ আহমেদ বলেন, আসামি সুরুজ আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। যেকোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। একই বিষয়ে খাগডহর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন নান্নু বলেন, তিনি নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন। তবে সুরুজ আলীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তিনিও শুনেছেন। অভিযুক্ত ফোন বন্ধ থানায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
মন্তব্য