জান্নাতুল ফেরদৌস ইভা নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যয়নরত ইভার শ্রেণি রোল এক। করোনা মহামারীকালে সেলসম্যান বাবার চাকরি চলে যাওয়ায় খুবই কষ্টের মধ্যে পড়ে তার পরিবার। সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পেয়ারাবাগানে বসবাসরত ইভার কষ্টের কথা স্কুলের শিক্ষকের মাধ্যমে সদ্য যোগদানরত জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লার কানে আসলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনি ইভার হাতে তুলে দেন ৩০ হাজার টাকার চেক, শিক্ষাউপকরণ, মুক্তিযুদ্ধের বই, শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী।
একইদিনে নারায়ণগঞ্জ সরকারি আইইটি স্কুলের নবম শ্রেণির মেধাবী দুস্থ শিক্ষার্থী মো. রাফিনের হাতেও একই অনুদান ও চেক তুলে দেন ডিসি। রাফিন বসবাস করে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডায় নানা নানীর সঙ্গে। বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছে। রাফিনের মা ছেলেকে ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে।
পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিকেটও সমান পারদর্শী রাফিন। সে জানায়, এই দুঃসময়ে এই অনুদান ও শিক্ষাসামগ্রী পেয়ে আমার আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস হয়েছে।
ইভা বলে, আমাদের পরিবারটি খুবই কষ্টের মধ্য দিয়ে চলছিল। এই অনুদান পেয়ে কষ্ট অনেকটা লাঘব হলো। এখান থেকে নতুনভাবে প্রেরণা পেলাম।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে কেউ যেন আর্থিক কষ্টের কারণে পড়ালেখা থেকে ছিটকে না পড়ে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা মেনে আজ এই শিক্ষার্থীকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যতটুকু করণীয় তাই করলাম। এই সাহায্য চলমান থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বকাউল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শামীম বেপারী, এনডিসি মো. কামরুল হাসান মারুফ।
মন্তব্য