গৃহকর্মী সাথী আক্তার
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে গৃহকর্তার নির্মম নির্যাতনের শিকার সাথী আক্তার (১৬) নামে এক গৃহকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘরবন্দি করে তাকে শারীরিক নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহকর্তা ও কর্তীর নির্যাতনে সাথী এখন মানসিক ভারসম্যহীন বলেও দাবি তার পরিবারের।
জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের খামার জগন্নাথপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার দিনমজুর সহির আলীর মেয়ে সাথী আক্তারকে (১৬) বছর খানেক আগে বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে নেন পৌর শহরের মো. সাদরুল ইসলাম। এরপর সাথীকে সাদরুল ও তার স্ত্রী সেলিনা বিভিন্ন সময়ে ঘরবন্দি করে নির্যাতনের পাশাপাশি তার চুল কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাথীর পরিবার।
সাথীর মা মীনা আক্তার জানান, কাজের জন্য তাদের মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে ঠিকমতো খেতে দিতেন না। তাদের সঙ্গে সাথীকে দেখাও করতে দিতেন না। বুধবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় সাদরুলের বাড়ি থেকে সাথীকে উদ্ধারের পর পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাথীকে মানসিক ভারসাম্যহীনের মতো আচরণ করছে।
অভিযুক্ত সাদরুল ও তার স্ত্রী সেলিনা বলেন, সাথী অসুস্থ থাকায় তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করিয়েছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন তারা।
পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহিল মাফি জানান, গতকাল সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসা চলছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সাথীর বাবা। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান।
মন্তব্য