শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলমকে সম্মাননা দেয় সমাজসেবা কার্যালয়। ছবি: কালের কণ্ঠ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাজসেবা সম্মাননা নিয়ে সমালোচিত জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলম সাংবাদিকদের বিবেকের ক্যামেরা ও কলমের সাহায্য চেয়েছেন। সমাজসেবায় নিজের ভূমিকার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সাংবাদিকদের ভুল বার্তার শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে মো. শাহ আলমের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময়ে উপস্থিত থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার তার বক্তব্যে মো. শাহ আলমের সম্মাননা পাওয়ার যোগ্যতা বিষয়ে নানা দিক তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ও সংশ্লিষ্টদের অবগত করেই এ সম্মাননা দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে গত শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলমকে সম্মাননা দেয় সমাজসেবা অধিদপ্তর। এ বিষয়ে উপপরিচালকের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা চান ডিসি। আর ওই ব্যাখ্যায় আওয়ামী লীগ নেতার অতীত কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি যুক্ত করে দেওয়া হয়। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় দাবি করে সম্মাননা প্রদানে কোনো দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক।
আরো পড়ুন :
ওএমএস কেলেঙ্কারিতে জড়িত আ. লীগ নেতাকে সমাজসেবা সম্মাননা, ব্যাখ্যা চাইলেন ডিসি
দুর্নীতি বনাম সম্মাননা : সেই আ. লীগ নেতার পক্ষে উপপরিচালকের ফিরিস্তি!
সমালোচিত আ. লীগ নেতাকে সমাজসেবা সম্মাননা: ব্যবস্থা নিতে সচিবকে ডিসির চিঠি
তিনি অভিযোগ করেন, 'এ নিয়ে একটি অনলাইন পোর্টালে খবর প্রকাশ হওয়ার পর জেলা প্রশাসক রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে সমাজসেবার উপপরিচালককে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি দেন।'
আল-মামুন সরকার প্রশ্ন রেখে বলেন, 'জেলা প্রশাসক সমাজসেবা সম্মাননা প্রদানের দিন সকালে স্থানীয় অবকাশের সামনে শাহ আলমকে নিয়ে হিজড়া ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন। এ সময় তিনি শাহ আলমের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসাও করেন। শাহ আলম সকালে ভালো লোক ছিলেন। আর বিকেলেই তিনি খারাপ হয়ে গেলেন?'
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহ আলম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে শাহ আলম বলেন, 'আমি জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদকের পাশাপাশি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য, জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সুইড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, কাউতলী শহীদ লুৎফুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কাউতলী ঈদগাহ মাঠের সাধারণ সম্পাদক ও কাউতলী কবরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এ ছাড়া আমি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের এজিএস ছিলাম।'
মন্তব্য