ফাইল ছবি
ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খোলার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এক জানুয়ারি বই বিতরণ শুরুর কথা রয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী সরকারি বই আসেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। এক জানুয়ারি মধ্যে আসবে কিনা সে বিষয়েও নিশ্চয়তা নেই।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদার ৭৪ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার মাত্র ১৬ দশমিক চার দুই শতাংশ পাঠ বই সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছিয়েছে। তবে প্রাক-প্রাথমিকের বই পাওয়া গেছে শতভাগ।
সূত্রটি জানায়, জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের জন্য ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩০টি পাঠ্য বইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়। মঙ্গলবার নাগাদ চাহিদার মধ্যে ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০টি বই পৌঁছিয়েছে। জেলায় মাধ্যমিক, দাখিল ও ইবতেদায়ী পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪২ লাখ ৬০ হাজার ৮২১টি পাঠ্য বইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের চাহিদার ৩৩ লাখ ৯১ হাজার ১৩৮টি বইয়ের মধ্যে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ১২৯টি বই পৌঁছিয়েছে। ইবতেদায়ীর শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার দুই লাখ ৩৫ হাজার ৫১০ পাঠ্য বইয়ের মধ্যে পৌঁছেছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৩৭২টি বই। আর দাখিলের জন্য চাহিদা দেওয়া আট লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৪টি পাঠ্য বইয়ের একটি বইও আসেনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খোরশেদ আলম জানান, হাতে এসে পৌঁছানো বই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাঠানো শুরু হয়েছে গত শনিবার থেকেই। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো যাবে বলে আশা রাখছি।
জেলা শিক্ষা অফিসার শফি উদ্দিন জানান, মঙ্গলবারের রাতের মধ্যে আরো বই আসার কথা রয়েছে। নতুন বছর শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিতে পারব। বই নিয়ে কোনো ধরণের সমস্যা হবে না।
মন্তব্য