শেরপুর পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ৫ মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে তৃণমূলের ভোটে প্রথম হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস। তৃণমূলের ১০৯টির ভোটের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১০৬ জন। আনিস পেয়েছেন ৪৮টি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল ৩৩টি এবং বর্তমান মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ২১টি ভোট পেয়েছেন। একটি ভোট বাতিল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শহরের জি কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে তৃণমূলের ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি ও স্থানীয় সাংবাদিকরা এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তবে অপর দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার এবং শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজা তৃণমূলের ভোট বর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বটতলা এলাকার ব্যক্তিগত চেম্বারে এক সংবাদ সম্মেলন করে অ্যাডভোকেট আধার অভিযোগ করেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ২৮ (৫) ধারা অনুযায়ী জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক কমপক্ষে ৩ জনের একটি প্যানেল প্রস্তাব’ কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সেই নিদের্শনা উপেক্ষা করে পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট করায় তিনি তা বর্জন করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন। শ্রমিক নেতা আরিফ রেজাও তৃণমুলের ভোট বর্জন করে স্বতন্ত্র নির্বাচনের কথা জানিয়েছেন।
তৃণমূল ভোটের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী তালিকা প্রেরণের সময় হাতে থাকায় নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তৃণমূলের ভোট করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থী নির্ধারনের তৃণমূলের ভোটে প্রাপ্ত ফলাফলের তালিকাসহ সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে প্রেরণ করা হবে। কেন্দ্র থেকেই চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্র যাকে প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন সকলে মিলে নৌকার সেই প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবেন।
এদিকে, আনিসুর রহমান আনিস তৃণমূল ভোটে অগ্রগামী হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে দারুণ উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
মন্তব্য