সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় 'অসময়ে' বিদেশি জাতের তরমুজ চাষে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একটি বাগানে থাইল্যান্ডের ব্ল্যাক সুইট-২ ও গোল্ডেন ক্রাউন জাত দুটির আবাদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে লাভবান হওয়া যাবে বলে আবাদকারী কৃষক আশার কথা জানিয়েছেন। উল্লাপাড়ার চরঘাটিনা এলাকায় ফজলুল হক নতুন একটি নার্সারি করেছেন। এ নার্সারিতে বিদেশি জাতের বড়ই, টমোটো, কফিসহ আরো ফসলের আবাদ করেছেন। নার্সারিটিতে প্রায় ৫০ শতক জমিতে থাইল্যান্ডের উন্নত দুটি জাতের তরমুজ ফসলের আবাদ করেছেন। জাত দুটি হলো- ব্ল্যাক সুইট-২ ও গোল্ডেন ক্রাউন।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ বাগানের মাচায় তুলে দেওয়া গাছে বড়-ছোট বহুসংখ্যক তরমুজ ঝুলছে। এর মধ্যে গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ কম পরিমাণ জমিতে আবাদ করা হয়েছে। প্রতিটি তরমুজ ব্যাগিং করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে নেটের ব্যাগ। দেড় থেকে দুই কেজির মধ্যে তরমুজের ওজন হয়েছে।
কৃষক ফজলুল হক জানান, তরমুজ আরো বড় হবে ও ওজন বাড়বে। গতকাল রবিবার প্রথম ৪৮ কেজি তরমুজ বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে তোলেন। স্থানীদের কাছে ৬০ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি করেছেন। তাঁর আশা, সাত থেকে সোয়া সাত টন ফলন মিলবে। তিনি এর আবাদে লাভবান হবেন। তবে স্থানীয় কোনো বাজারে নয়, উৎপাদিত তরমুজ ঢাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান। তিনি ঢাকায় বিক্রির ব্যবস্থাও নিয়েছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে এ আবাদে পরামর্শ নেওয়া হয়ে থাকে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে, ফজলুল হকের তরমুজের আবাদের পেছনে প্রযুক্তি সহায়তা এবং বিভিন্ন রাসায়নিক সারের সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের আশা, অনেকেই এই 'অসময়ের' তরমুজ আবাদে আগ্রহী হবেন।
মন্তব্য