রাখাল নৃত্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে মণিপুরি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব মহারাসলীলা। করোনা মহামারির ফলে আয়োজন ছোট করা হয়েছে এ বছর। আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১টা থেকে উপজেলার মাধবপুর জোড়ামণ্ডপ এবং আদমপুর সানাঠাকুর মণ্ডপে ১৭৮তম রাস উৎসব শুরু হয়।
ছোট ছেলে-মেয়েরা রাখাল নৃত্য পরিবেশ করছে। ভক্তবৃন্দ নৃত্যরত শিল্পীদের বাতাসা ও টাকা উপহার দেন। উৎসব উপলক্ষে নানা ঐতিহ্যবাহী সাজে মেতেছে মণিপুরীপাড়া। রাতভর বৈষ্ণব সাহিত্যের রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলার নৃত্যগীতাভিনয় রাসলীলার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। মূল রাসলীলা রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে পরদিন ভোর পর্যন্ত চলবে।
বাঁশ ও কাগজ কেটে বিশেষ কারুকাজে রাসের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বসে রাসধারী বা রাসের গুরু, সূত্রধারীরা ও বাদকরা।
পাশাপাশি তিনটি মণ্ডপে তরুণীরা এ রাসলীলায় অংশ নিয়ে থাকে। রাসের সাধারণ ক্রম হচ্ছে- সূত্রধারী কর্তৃক রাগালাপ ও বন্দনা, বৃন্দার কৃষ্ণ আবাহন, কৃষ্ণ অভিসার, রাধা ও সখীদের অভিসার, রাধা ও কৃষ্ণের সাক্ষাৎ ও মান-অভিমান, ভঙ্গীপারেং, রাধার কৃষ্ণ-সমর্পণ, যুগলরূপ প্রার্থনা এবং আরতি ইত্যাদি। যদিও সেটি একটি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, কিন্তু তার নৃত্যশৈলী বরাবর সব ধর্ম ও জাতের মানুষকে আকর্ষণ করেছে। করোনায় রাসলীলার মূল পর্ব ছাড়া বাকি আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আস্তে আস্তে মনিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজন ভিড় করছে মণ্ডপগুলোতে।
মন্তব্য