বাগেরহাটের শরণখোলায় মহাসড়কই যেনো বাস টার্মিনাল। স্থায়ী বাস টার্মিনাল না থাকায় দূরপাল্লার বাসগুলো সড়কের দুইপাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হচ্ছে। এতে স্থানীয় রুটের বাস, পণ্যবাহী বিভিন্ন পরিবহন, ভ্যানরিকশাসহ জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে দিন দিন।
এদিকে দূরপাল্লার পরিবহনের পরিচালকসহ স্থানীয়রা প্রায় একযুগ ধরে স্থায়ীভাবে বাস টার্মিনাল স্থাপনের দাবি জানাচ্ছে। তবে এর কোনো সমাধান হয়নি আজও। যার ফলে, রায়েন্দা-রাজৈর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আঞ্চলিক মহাসড়ক, রায়েন্দা সেতু এবং সেতুর দুই পারের সংযোগসড়কের ওপর বাসগুলো পার্কিং করতে হচ্ছে। বাসগুলো দুই সারিতে রাখার ফলে ভ্যান-রিকশা ও মানুষ চলারও জায়গা থাকে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শরণখোলা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বেনাপোল পর্যন্ত সরাসরি পরিবহন সেবা চালু রয়েছে। এসব রুটে প্রতিদিন দিবা ও রাত্রিকালীন বিআরটিসিসহ বিভিন্ন কম্পানির অর্ধশতাধিক পরিবহন চলাচল করে। টার্মিনালের অভাবে দূরপাল্লার এসব বাস এসে সড়কের ওপর থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করে। পরবর্তীতে পার্কিংয়ের জন্য বাসগুলো বাধ্য হয়ে মহাসড়ক-সেতুকেই টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করছে সংশ্লিষ্টরা।
ফালগুনী পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মো. গুলজার হোসেন, মেঘনা পরিবহনের আবু তালেব, বলেশ্বরের রানা মীর, বিআরটিসির মশিউর রহমান জানান, স্ট্যান্ডের কাছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি ডোবা ভরাট করে সেখানে পরিবহনগুলো রাখা হতো। কিন্ত ওই জমির ওপর থেকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় এখন আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যে কারণে কাউন্টারের সামনে এবং সড়কের ওপর বাসগুলো রাখতে হচ্ছে। এতে সবারই দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী বাস টার্মিনালের দাবি জানালেও কোনো সমাধান হয়নি।
শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ-মোংলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. শামীম আহসান পলাশ বলেন, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার কোথাও বাস টার্মিনাল নেই। মহাসড়কই টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। একযুগেরও বেশি সময় ধরে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার মানুষকে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি মহোদয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, স্থায়ী বাস টার্মিনালের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। শিগগিরই এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য