জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জুয়ার আসরে সংঘর্ষে তিন জুয়াড়ি যমুনা নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করেছে পুলিশ সুপারের কার্যালয়। শনিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. ইউনুস আলী ও কনস্টেবল মনির উদ্দিনকে জামালপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো. ফজলুল করীম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের চর বাশুরিয়া এলাকার যমুনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে জুয়ার আসর বসে। জুয়ার আসরে আধিপত্য বিস্তার ও টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে জুয়াড়িদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন জুয়াড়ি আহত হয়। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই তিন জুয়াড়ি গভীর যমুনা নদীতে নিখোঁজ হয়ে যায়।
নিখোঁজ জুয়াড়িরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু (৪০), পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মৃত জমসের খাঁনের ছেলে হাফিজুর রহমান খাঁন (৪৫) ও ভুয়াপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের ফজল মিয়া (৪০)।
এ ঘটনায় শুক্রবার তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিখোঁজ তিন জুয়াড়ির পরিবার পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি করে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বালিয়ামেন্দা গ্রামের সোহেল মিয়া (৩৫) ও টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার চর রামাইল গ্রামের সজিবকে (৩৫) আটক করেছে।
এদিকে জুয়ার আসর সম্পর্কে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ইউনুস আলী ও কনস্টেবল মনির উদ্দিনকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জুয়ার আসর চালানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান পেতে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত চলছে।' তবে দুই পুলিশ প্রত্যাহার জুয়া সংক্রান্ত কারণ হিসেবে স্বীকার না করলেও প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, কর্মস্থল পরিবর্তন পুলিশের নিয়মিত বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ।
মন্তব্য