<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর মহেশ ভট্টাচার্যের বসতভিটা রক্ষায় অবশেষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকেলে বিটঘরে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গৃহনির্মাণ প্রকল্পস্থলে যান। সেখানে মহেশ ভট্টাচার্যের সম্পতিতে সরকারের ৩২টি ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার জোর দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা গৃহনির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন।</p> <p>এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও জেলা প্রশাসকের কাছে এলাকাবাসীর একাধিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে বিটঘরের গৃহনির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফ আহমেদ রাসেল, নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক ও সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ইকবাল হাসান। </p> <p>এলাকাবাসী সে সময় মহেশ ভট্টাচার্যের স্মৃতিবিজড়িত ৭৪ শতক সম্পত্তি থেকে সরকারের গৃহনির্মাণ প্রকল্পটি গ্রামের অন্য কোনো খাস জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানান।</p> <p>পরে তারা চলে যাওয়ার পর বিকেলে সেখানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে মহেশ ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া ৫৪০ শতক (১৮ বিঘা) সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে কয়েক শ লোকের উপস্থিতিতে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রিন্সিপাল মোস্তফা কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা আহাম্মদ আলী খাঁ, শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মেহেদী জাফর দস্তগীর, মাখন মুন্সি প্রমুখ।</p> <p>বক্তারা জোর গলায় বলেন, দানবীর মহেশ ভট্টাচার্যের বুকে (সম্পত্তিতে) কাউকেই কোনোভাবে ছুরি চালাতে দেওয়া হবে না। বক্তারা এ সময় দানবীরের রেখে যাওয়া বসতভিটাসহ কোটি কোটি টাকার এসব সহায়-সম্পত্তি সুরক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।</p> <p>পরে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফ আহমেদ রাসেলের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।</p> <p>উল্লেখ্য, বিটঘরে দানবীর মহেশ ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া ৭৪ শতক মূল্যবান সম্পত্তি সরকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত করে সেখানে মুজিববর্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য ৩২টি ঘর তৈরি করছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ নিয়ে কালের কণ্ঠে ইতিমধ্যে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।</p>