যশোরের কেশবপুরে সাধকের নিকট থেকে ছেলের তন্ত্রমন্ত্র নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করলে পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে উপজেলার ভায়না গ্রামের এক গৃহবধূকে (৪০) তার ছেলের জন্য সাধকের নিকট থেকে তন্ত্রমন্ত্র নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ভেরচি গ্রামের ঘোষপাড়া ডাঙ্গির বিলের ভেতর ধানক্ষেতের প্রশস্ত আইলের ওপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রবিবার রাতে ওই গৃহবধূ উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের সন্ন্যাসগাছা গ্রামের বারেক শেখের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৩), তার ৩ সহযোগী সন্ন্যাসগাছা গ্রামের লতিফ সরদারের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫), ভরতভায়না গ্রামের আব্দুল হান্নান সরদারের ছেলে আবু সাঈদ (৩৩) ও কাশিমপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রোস্তম আলী ফকিরের (৩৯) নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ রবিবার গভীর রাতে মামলার আসামি ভায়না গ্রামের আব্দুল হান্নান সরদারের ছেলে আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি সিরাজুল ইসলামকে সাধক সাজিয়ে ওই গৃহবধূকে পার্শ্ববর্তী ভেরচি গ্রামের ঘোষপাড়া ডাঙ্গির বিলের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়।
কেশবপুর থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধূর দেওয়া ধর্ষণ মামলায় আসামি আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার-অভিযান অব্যাহত।
মন্তব্য