<p>নড়াইল সদর উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক অরুণ কুমার রায়কে (৭২) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তুলরামপুর ইউনিয়নের বেনাহাটি গ্রামের কিরণ চন্দ্র রায়ের ছেলে। খুলনার বঠিয়াঘাটা সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। ২৩ অক্টোবর (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে নিজ বসতবাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। </p> <p>স্বজনেরা জানান, তাঁর স্ত্রী নিভা রানী পাঠক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) খুলনার উপপরিচালক। দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে ইন্দ্রজিৎ রায় রবি কম্পানির ইঞ্জিনিয়ার এবং মেয়ে ইন্দ্রিরা রায় ডাক্তার।</p> <p>পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছেলে ইন্দ্রজিৎ রায় বাড়িতে এসে কলাপসিবল গেটের কলিং বেল চেপে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বাসায় ঢুকে দোতলায় বাবার বসতঘরে গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।</p> <p>নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন,ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির তিন কেয়ারটেকারসহ চারজনকে আটক করেছে। এদিকে ঘটনা তদন্তে শুক্রবার রাত থেকেই তদন্তে নেমেছে সিআইডি ও পিবিআই।</p> <p>ওদিকে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মোটরসাইকেল চোরের রডের আঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম মিয়া (৪০)। একই ঘটনায় আরো দুজন আহত হন। শনিবার ভোরে উপজেলার বাইতুল ইজ্জত আমতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মো. জাহাঙ্গীর আলম সবুজ হরিণতোয়া রাস্তার মাথা এলাকায় বসবাস করেন। ঘটনার দিন ভোরে তার ঘর থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে অপর একটি মোটরসাইকেলযোগে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক দিয়ে কেরানীহাটের দিকে রওনা দেন। সড়কের বাইতুল ইজ্জত আমতল এলাকায় আসার পর মোটরসাইকেলসহ চোরকে আটক করেন। তখন সবুজ আমতল এলাকায় বসবাসরত তার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম মিয়াকে ফোন করে ডেকে আনেন। পরে তারা কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কে দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেল চোরের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এরই মধ্যে মোটরসাইকেল চোরের আরো কয়েকজন সহযোগী অপর একটি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে এসে তাদের হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে করে একটি মোটরসাইকেলসহ চোরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় চোরের রডের আঘাতে শফিকুল ইসলাম মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে কেরানীহাট আশশেফা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। <br /> একই ঘটনায় তার ভাই ও মোটরসাইকেলের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম সবুজ (৩৭) এবং আবু তৈয়ব (৩৩) আহত হয়।</p> <p>সাতকানিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মোটরসাইকেল চোরের রডের আঘাতে তিনি মারা গেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য কাজ শুরু করেছে পুলিশ। </p> <p>এদিকে, যশোর শহরের কারবালা সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকা থেকে ইসরাফিল হোসেন মান্নাফ (৪০) নামে এক শ্রমিকের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। নিহতের মাথায় ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।</p> <p>নিহতের চাচাতো ভাই আল-আমিন জানান, মান্নাফ মাটিকাটা এসকাভেটরের হেলপার। গতকাল রাতে নিজের বাইসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন। রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি তিনি। আজ সকালে কারবালা এলাকার বাসিন্দারা ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মান্নাফের মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে। এরপর পথচারীরা তার মোবইল থেকে স্বজনদের ফোন দেয়। </p> <p>খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের মরদেহের পাশে তার ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও একটি ভাঙা ইট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মান্নাফকে হত্যা করা হয়েছে।</p> <p>ঘটনাস্থলে উপস্থিত যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) আবু হেনা মিলন জানান, নিহতের মাথায় ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাকে কে বা কারা কি কারণে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে ও মামলা প্রক্রিয়াধীন।</p>