<p>২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, চাঁদপুরের জরুরি বিভাগে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে মেডিসিন বিভাগের প্রধান, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সালেহ আহমেকে প্রধান করা হয়। অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন, আবাসিক চিকিৎসক নোমান হোসেন এবং নার্সিং সুপারভাইজার শিউলী রানী চক্রবর্তী।</p> <p>২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, চাঁদপুর-এর ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, গত সোমবার শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত একজন রোগীকে এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। সেখানে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের অবহেলায় ওই রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৫ কর্মদিবসে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তদন্ত চলাকালে কমিটির সদস্যরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও তার আশপাশে স্থাপিত সিসিটিভি‘র ফুটেজ বিশ্লেষণ, রোগীর স্বজন, অভিযুক্ত এবং উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন।</p> <p>চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর পাইকাস্তা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান খানের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন সুমন (৩০) শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। সোমবার বিকেলে বড়ভাই সেলিম খান এবং বোন মোমেনা বেগম তাদের অসুস্থ ভাইকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, চাঁদপুরে নিয়ে যান।</p> <p>সেখানে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে গুরুতর অসুস্থ এই রোগীকে অক্সিজেন না দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার অজুহাত দেখান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৈয়দ আহমেদ কাজল এবং ব্রাদার জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় বিলম্ব ঘটে। এসময় এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় মারা যান রোগী শাখাওয়াত হোসেন খান সুমন। </p> <p>এই নিয়ে রোগীর স্বজনরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবায় অবহেলার অভিযোগ তুলেন। তার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন।</p>