<p>কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের কভিড-১৯ ইউনিটে করোনার সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় দুই নারীসহ আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার (৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ সাতজন মারা যান। তাদের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। ওদিকে, করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে তারা মারা যান। </p> <p>কুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরো সাতজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনজন এবং আইসিইউতে চারজন মারা যান। মৃত সাতজনের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বাকি ছয়জনের মধ্যে দুজন নারী এবং চারজন পুরুষ।</p> <p>রামেক হাসপাতালের উপপরিচাক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালে দুজন করোনা উপসর্গে মারা গেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃতদের দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।</p> <p>কুমেকের কভিড-১৯ ইউনিটের তথ্য কেন্দ্র থেকে জানা যায়, হাসপাতালে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বরুড়া উপজেলার শাহ আলম (৬২)। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ছয়জন হলেন কুমিল্লা সদর উপজেলার আবদুল কাদের (৬০), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আবদুল করিম (৭৫), মনোহরগঞ্জ উপজেলার জামাল উদ্দিন (৫৩), চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসু দেব (৭২), একই জেলার শাহারাস্তি উপজেলার নাজমা রহমান (৫০) এবং গোপালগঞ্জ জেলার মোখশেদপুর উপজেলার লুৎফর নেছা (৬২)। আর রামেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুজন হলেন রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকার মেহের উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দীন (৪৫) এবং বোয়ালিয়া থানার মামুন-উর-রশীদের ছেলে আব্দুল অহেদ (৫৭)। তারা দুজনই হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে (করোনা ওয়ার্ড) চিকিৎসাধীন ছিলেন। </p>