<p>কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের একটি মাত্র পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য দিন দিন নমুনা প্রদানকারীর সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। আজ রবিবার একদিনেই ২৫৮ জনের পরীক্ষায় ৭০ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ জনের নমুনা জমা হচ্ছে ল্যাবে। কিন্তু এত বেশী পরিমাণের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।</p> <p>এ কারনে নমুনার জট লেগে যাচ্ছে। ৫-৬ দিনেও নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত যত্রতত্র ঘোরাফেরা করার কারণে ক্রমশ সংক্রমিত হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত দেওয়া সম্ভব হলে সংক্রমণের হার অনেকাংশেই কমে আসবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। </p> <p>কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, একমাত্র পিসিআর ল্যাবে নমুনার স্তুপ হচ্ছে প্রতিদিন। দৈনিক যতজন নমুনা দিচ্ছেন তত সংখ্যক পরীক্ষা করার কাজ একটি মাত্র মেশিনে সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, তবে নমুনা জট হ্রাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। </p> <p>কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার চাপ কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি ১২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করারও চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন ইউএনএইচসিআর কর্তৃপক্ষের সাথেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গার পরীক্ষা আলাদা করা হলে চাপও অনেকটা কমে যাবে।</p> <p>কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে আজ রবিবারও ৭০ জন করোনা পজিটিভ হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৭০৯ জন। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে কক্সবাজার জেলা শহর নিয়ে সদর উপজেলায় রয়েছেন সবচেয়ে বেশী ২৮৬ জন। তদুপরি রয়েছেন ৩১ জন রোহিঙ্গাও।</p>