<p>দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া একের পর এক ৬১ লাশ দাফন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে তার ঘরেও হানা দিয়েছে করোনা। স্ত্রীসহ নিজেও করোনা আক্রান্ত। তার স্ত্রীর শরীরে গত ২৩ মে করোনা ধরা পড়ে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই কয়েকদিন আইসোলেশনে বাড়িতেই ছিলেন তিনি।</p> <p>খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও শনিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে কাঁচপুরের সাজেদা ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আইসিইউ খালি পাওয়া যায়নি।</p> <p>এদিকে, শনিবার দুপুরেই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের। তিনি বলেন, আমি নিজেই সাজেদা ফাউন্ডেশনে যাচ্ছি। লুনার (খোরশেদের স্ত্রী) শ্বাসকষ্ট বাড়ার পাশাপাশি পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমার (খোরশেদ) করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে আরো ভেঙে পড়েছে।</p> <p>খোরশেদ বলেন, শনিবার বিকালে লুনার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ ব্যবস্থা করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমার স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ। কোথাও আইসিইউ খালি পাচ্ছি না। নারায়ণগঞ্জে শুধু সাজেদা হাসপাতালে চারটি আইসিইউ বেড রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আইসিইউর জন্য অনুরোধ করেছি। সেগুলোও পরিপূর্ণ থাকায় তারা সকালে দেবে বলেছে। একটি আইসিইউ হলে হয়তো আমার স্ত্রীর শ্বাস নেওয়াটা স্বাভাবিকভাবে চলতো। করোনা আক্রান্তদের জন্য কাজ করতে গিয়ে শেষমেশ নিজেরা আক্রান্ত। সবার কাছে দোয়া চাই। </p> <p>তিনি আরো বলেন, আমি আক্রান্ত হলেও আমার সকল কার্যক্রম চলবে। আমার টিম সক্রিয় থাকবে। আমার ফোন চালু থাকবে। আমি যতদিন বেঁচে আছি এক বিন্দুও নড়ব না।</p>