<p>করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে যশোরের শার্শা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার অফিস সহকারী আব্দুর রব বিদ্যালয়ের রুমের তালা খুলে চুরির ঘটনাটি টের পান এবং পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ সময় চোরেরা বিদ্যালয়ের উন্নতমানের অনুবীক্ষণ যন্ত্র, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।</p> <p>বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এমন চুরির ঘটনায় সবাই তাজ্জব বনে গেছেন। করোনার কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে অফিসিয়াল প্রয়োজন ছাড়া বিদ্যালয় খোলা হয়নি। শিক্ষকদের মাসিক বেতন-ভাতাদির কাগজপত্র তৈরির জন্য বিদ্যালয় খোলা হয়। খোলার পর চুরির ঘটনাটি জনসম্মুখে আসে।</p> <p>এ বিদ্যালয়ে আলমগীর নামে একজন নৈশপ্রহরী রয়েছে। তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি সেখানে ছিলেন কিন্তু কোনো প্রকার শব্দ শুনতে পাননি।</p> <p>বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান বলেন, স্কুলের টিন কেটে ভিতরে ঢুকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এ সময় চোরেরা একটি উন্নতমানের অনুবীক্ষণ যন্ত্র, ৬টি বেসিন ট্যাপ, একটি কাসার ঘন্টা, মূল্যবান বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, ৩ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন যন্ত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।</p> <p>বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মেহেদি হাসান জানান, বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং গোটা বিষয়টি লিখিত ভাবে পুলিশে জানানো হয়েছে।</p> <p>শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এবং উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসআই খাইরুল বাশারকে চুরির ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।</p>