<p>লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জ্বর ও খিঁচুনি নিয়ে পৃথক দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ৯ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সোয়াব টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের মার্টিন গ্রামের ৪ বছর বয়সী এক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। শিশুটির গত চার দিন ধরে জ্বর ছিল। </p> <p>এর আগে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ২ বছর ৪ মাস বয়সী এক শিশু খিঁচুনি রোগে মারা যায়। গত এক বছরর ধরে শিশুটি খিঁচুনি (ইপিলেপ্সি) রোগে আক্রান্ত ছিল। রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে তাকে দাফন করা হয়। </p> <p>এদিকে খবর পেয়ে কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী মার্টিন গ্রামে ওই শিশুর বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আশপাশের লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেন এবং সরকারি নির্দেশান মেনে চলার অনুরোধ করেন।</p> <p>পুলিশ জানায়, মার্টিন গ্রামের একটি শিশু গত ৪ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। প্রথমে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতিতে নোয়াখালীতে প্রেরণ করা হয়। নোয়াখালী নেওয়ার পথে শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তার বাবা গত দুই বছর ধরে বিদেশ রয়েছেন। তবে গত ৩-৪ মাসেও তার পরিবারে কেউ বিদেশ থেকে দেশে ফেরেনি। শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠায়। এ ছাড়া তোরাবগঞ্জে খিঁচুনি রোগে মারা যাওয়া শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে চিকিৎসকরা ঢাকায় পাঠিয়েছেন।</p> <p>কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই বাড়ির তিন পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। </p> <p>চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া জানান, শিশুটি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তারা বাবা প্রবাসী হলেও গত দুই বছরে বাড়ি ফেরেনি। চিকিৎসকরা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। ওই বাড়ির ৬ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।</p> <p>কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ নুরুল আবছার বলেন, তোরাবগঞ্জ ও মার্টিনে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাড়ির ৯ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। মৃত শিশুদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত স্থানীয় মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ তদারকিতে থাকবে।</p>