<p>মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সবাইকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একদিকে জানের ভয় অন্যদিকে খাদ্যের অভাবে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরা। সরকার যদিও বলছে গরিবদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেবে। তবুও শঙ্কা কাটছে না গরিবদের।</p> <p>জকিগঞ্জের সদরপুরের আব্দুল্লাহ একজন গাছ কাটা শ্রমিক। ৬ সন্তানসহ ৮ জনের সংসার নিয়ে বিপদে রয়েছেন। তিনি বলেন, কাম করলে খাওন না করলে মরণ। হুরুতারে করোনা বুজাইতে পাররাম না। ঘরো খাওন নাই বাইরে হুনিয়ার বাইরাস (ভাইরাস)। খলাছড়ার সানু মিয়ার কোনো নির্দিষ্ট পেশা নাই। যেদিন যে কাজ পান তাই করেন। ৪ সন্তানসহ ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে তিনিও বিপাকে পড়েছেন।</p> <p>তিনি কিছুদিন আগে সরকারি একটি ঘর পেয়েছেন। তিনি আশা করেন সরকার এই বিপদের সময় খাবারও দিবে। কার কাছে কিভাবে কখন কোথায় খাবার চাইবেন তা বুঝতেছেন না। পীরেরচকের কদ্দুস মিয়া পেশায় রিকশাচালক। রাস্তাঘাটে মানুষ নেই তাই রুজিও বন্ধ। </p> <p>মাদারখালের দিনমজুর মহিম আহমদ (৪০) মারা গেছেন গত মাসে। ৪ ছেলেমেয়ে নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন তার স্ত্রী। এভাবে পুরো উপজেলার দিনমজুর শ্রেণির মানুষের অবস্থা শাঁকের করাতের মতো। শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ কিছু গরিব পরিবারে ১০ কেজি করে চালসহ সরকারি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।</p>