করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে এক যুবককে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করার পর থেকেই রোগী কমতে শুরু করেছে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে। অতি জরুরি ছাড়া সেদিকে যাচ্ছেন না কেউ। কার্যত রোগীশূন্য ১০০ শয্যার হাসপাতালটি।
সূত্র জানায়, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ রোগী হাসপাতালে আসলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ৩ জন, শিশু ওয়ার্ডে ১ জন, মহিলা ও গাইনী ওয়ার্ডে ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন। বাকি শয্যাগুলো শূন্য পড়ে আছে। এমনকি বর্হিবিভাগে তেমন রোগী আসছেন না। এ পর্যায়ে সর্দি,জ্বরসহ বিভিন্ন সমস্যায় হাসপাতালে না এসে বাড়ি থেকেই মোবাইলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে ব্যানার সাটিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসক ও নার্সরা রোগী স্বল্পতায় অলস সময় কাটাচ্ছেন। জরুরী বিভাগে কর্মরতরা পিপিই পোষাক পরে প্রস্তুত আছেন। বাকিরা রয়েছেন সাধারণ পোশাকে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজউদ্দৌলা বলেন, 'হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে একজন যুবককে ভর্তি করার পর থেকেই রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। যুবকের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেলেও আইইডিসিআর প্রতিনিধিরা পরে পরীক্ষার রিপোর্ট জানাননি। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।'
এদিকে পঞ্চগড়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হোম কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে ১৮ জনকে। এ নিয়ে হোম কোয়ারিন্টিনে আছেন মোট ৩১৯ জন। আর আইসোলেশনে রয়েছেন একজন।
মন্তব্য