<p>পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(পবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। </p> <p>বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, র‌্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। </p> <p>তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসন যথেষ্ট অনুসন্ধান না করেই এসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে। এরইপ্রেক্ষিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের সহপাঠিরা বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবিতে রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এছাড়া একই দিন প্রশাসনিক ভবনে র‌্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় বাইরে থেকে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে উপাচার্যসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বহিষ্কার প্রত্যাহারের মৌখিক দাবি মেনে নেয় প্রশাসন। কিন্তু জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে তাদের সাথে অশালীন আচরণ করার জন্য জরুরি সভা আহ্বান করে শিক্ষক সমিতি। আলাচনা সভায় দুই দফা দাবিও দেয় শিক্ষকরা। </p> <p>বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম চৌধুরি ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়। </p> <p>বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, র‌্যাগিংয়ের দায়ে দোষী ছাত্রদের শাস্তি বহাল রাখতে হবে এবং প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। </p> <p>এদিকে বিশ্বদ্যিালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় অনেকে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসায় চলে গেছে। </p> <p>অন্যদিকে র‌্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এবং উপাচার্যসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে তাদের সাথে অশালীন আচরণ করায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। </p> <p>এমন পরিস্থিতিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শৃঙ্খলা বোর্ডর আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও উপাচার্যের অনুপস্থিতির কারণে আলোচনা সভা হয়নি। তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে শৃঙ্খলা বোর্ডের আলোচনা হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। </p> <p>এ ব্যাপারে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা দোষী শিক্ষার্থীদের শাস্তি চাই, নির্দোষ কোনো শিক্ষার্থীদের শাস্তি চাই না। তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। </p> <p> </p>