শনিবার । ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯। ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ১৬ রবিউস সানি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তা বহাল রাখতে করা হচ্ছে 'কারসাজি'। নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী না থাকলেও 'ভাড়ায়' আনা হচ্ছে পরীক্ষার্থী। পঞ্চম শ্রেনীর চলমান প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অনেক প্রতিষ্ঠানের নামেই অংশ নিচ্ছে ভূয়া পরীক্ষার্থী। ধরা পড়ার পর বহিস্কার করা হচ্ছে তাদের। বৃহস্পতিবার লালমনরিহাটের হাতীবান্ধায় এবতেদায়ী পরীক্ষায় অংশ নেয়া এরকম ১০জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। শিশুদের ব্যবহার করে এ জালিয়াতি কারবার নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় হাতীবান্ধা এসএস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে রয়েছে একটি কেন্দ্র। সেখানে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভবানীপুর স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের আসন রয়েছে। এ মাদ্রাসা তাদের নিয়মিত শিক্ষার্থী না থাকায় ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেছে পঞ্চম শ্রেনীর পরীক্ষায় অংশ নিতে। এবতেদায়ী পরীক্ষায় ভূয়া শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে এমন অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ধরা পড়েছে দশজন। পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র থেকে ১০জন পরীক্ষার্থী শনাক্ত ও বহিস্কার করা হয়।
বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হল- আব্দুর রউফ, আশারাফুল হক, সাফিউল আলম স্বাধীন, ফরহাদ হোসেন, আবু নাঈম মিলন, আব্দুল করিম, সুরাইয়া আক্তার, কুলছুম খাতুন, সাবিনা ইয়াসমিন ও নাজমুন্নাহার আক্তার নুরি। তারা সকলে এসএস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিল।
হাতীবান্ধা এসএস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব রেজাউল করিম প্রধান বলেন, 'আমরা অভিযোগ পেয়ে ১০৭ নম্বর কক্ষে বসা পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তারা দোষ স্বীকার করে নিলে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানানো হয়।'
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, ‘দশজন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
মন্তব্য