<p>ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।</p> <p>চিলমারী শহরের পানি তেমন না কমায় পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। সড়ক, বাঁধ ও  রেললাইনে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটের পাশাপাশি শৌচাগার না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসী মানুষ, দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগ-ব্যাধি। পানি কমার সাথে সাথে কোথাও কোথাও নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। </p> <p>জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, বন্যার ফলে ৫৭টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে আট লাখ মানুষ পানিবন্দি। নদীভাঙনের শিকার হয়েছে এক হাজার ২৪৯টি পরিবার। ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর। বন্যায় এক হাজার ২৪৫ কিলোমিটার রাস্তা, ৪০ কিলোমিটার বাঁধ ও ৪১টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নলকূপ ক্ষতিগস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪টি। দুই লক্ষাধিক গবাদিপশু পানিবন্দি।</p> <p>জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৮০০ মেট্রিকটন জিআর চাল, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় হাজার ৪২৮ মেট্রিকটন চাল  বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয় হাজার ২০০ পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকার মৎস্য সম্পদ। </p>