<p>প্রতিদিন সকাল হলেই কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যেটেক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চত্বর থেকে গণপরিবহন সংকটের কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শহরগামী কয়েক হাজার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় গন্তব্যে পৌঁছাতে। গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। সিএনজি  চালিত অটোরিক্সা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাধারণ যাত্রীরা।</p> <p>উপজেলার মইজ্জ্যেটেক এলাকায় সরেজমিনে ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন গাড়ির জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এই মধ্যে বৃহস্পতিবার ছিলো পরিবহন ধর্মঘট। বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যস্থলে। প্রায় সময়ে শিকলবাহা ক্রসিং ও মইজ্জ্যেটেক এলাকা পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশীর নামে হয়রানীর শিকারও হতে হয়। এদিকে ধর্মঘটের কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। বলা যায়, অতি ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছিল একেবারেই ফাঁকা। রাস্তায় কোন পরিবহন না পেয়ে হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়। </p> <p>যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন সকালে মইজ্জ্যেটেক এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সার একটি সিন্ডিকেটের কাছে তাদেরকে জিম্মি হয়ে থাকতে হয়। কোন গণপরিবহন এখান থেকে যাত্রীও উঠা নামা করতে পারে না তাদের ভয়ে। এতে করে আমাদের ১০ টাকার ভাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে ব্রিজ পাড় হতে হয়।</p> <p>আইনজীবী এডভোকেট লোকমান শাহ্ বলেন, প্রতিদিন শহরে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে খুব সহজে মইজ্জ্যেটেক আসা যায়। কিন্তু এখান থেকে ব্রিজ পাড় হতে পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি। অনেক সময় বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে শ্রমিকদের পরিবহন ধর্মঘট। সকাল থেকে দেড় ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। এখনো পর্যন্ত যেতে পারছি না কর্মস্থলে।</p> <p>কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘কর্ণফুলী এলাকার যাত্রীরা পরিবহন নিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নগরী থেকে কর্ণফুলীর দূরত্ব দেড় দুই কিলোমিটার হলেও  ব্রিজের টোল দিতে হয় বলে নগরীর কোনো গাড়ি আসে না। শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাড়ের যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে পাড় হতে হয় ব্রিজ। এ বিষয়ে মাননীয় ভূমিমন্ত্রী ও জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উত্থাপন করেছি। এদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’</p>