<p>‘সংগীত মনুষ্যত্বের পরিবাহক ও পরিচালক’-এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ১৯৯৪ সালে কুলাউড়া শহরের মাগুরা আবাসিক এলাকায় যাত্রা শুরু হয়েছিল রুদ্রবীণা সংগীত বিদ্যালয়ের। এ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। সোমবার এ প্রতিষ্ঠানটি ২৫ বছর পূর্তি ও পঞ্চম সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠান করে। এ সময় সংগীতের বিভিন্ন শাখায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ করা হয়।</p> <p>কুলাউড়া পৌর শহরের ডাকবাংলোতে অবস্থিত মুক্ত মঞ্চে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথম পর্বে রুদ্রবীণা বিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী পরিষদের সভাপতি আইনজীবী এ টি এম মান্নানের সভাপতিত্বে ও সঙ্গীত শিল্পী নান্টু দাসের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র শফি আলম ইউনুছ। </p> <p>বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম, কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কানাই লাল চক্রবর্তী, সমকাল প্রতিনিধি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য মিত্র সুমন, প্রিয় কুলাউড়ার সম্পাদক এ কে এম জাবের, বাংলাদেশ টুডে প্রতিনিধি শাকির আহমদ প্রমুখ।</p> <p>স্বাগত বক্তব্যে রুদ্রবীণা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, এলাকায় সংগীত চর্চা বৃদ্ধির উদ্দেশে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। এ প্রতিষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, লোক গান, উচ্চাঙ্গ সংগীত, যন্ত্র সংগীত, তবলা ও নৃত্য বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। ধ্রুবপরিষদ নামের বেসরকারি একটি সংগীত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে এ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন মেয়াদী কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নেন। জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। বিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থী বেতারে সহ-শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ৬০ জন শিক্ষার্থী ও ছয় জন শিক্ষক রয়েছেন।</p> <p>তিনি আরো বলেন, শুরু থেকেই মাগুরা এলাকায় তাঁর বাসায় এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। সরকারি কোনো জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেলে সেখানে স্থায়ীভাবে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা যেত। এ ছাড়া অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। প্রধান অতিথি শফি আলম বলেন, ‘রুদ্রবীণা সংগীত বিদ্যালয় ছোট শহরের বড় প্রতিষ্ঠান। এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানের ২৫ বছর পার হওয়া অবশ্যই গৌরবের।</p> <p>এ বিদ্যালয়কে টিকিয়ে রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের বিরাজমান সমস্যার সমাধানে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’ আলোচনা শেষে অতিথিরা বিভিন্ন মেয়াদী কোর্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এ বছর ৫২ জন শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। দ্বিতীয় পর্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।</p>