<p>বাগেরহাটের ফকিরহাটে জলাবদ্ধতা নিরসনে দু’শতাধিক বিলাশবহুল ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠিান ভেঙে খাল খননে জায়গা দিয়ে সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন স্থানীয় জনতা। আত্মস্বার্থ চরিতার্থ নয় সামাজিক দায়বদ্ধতায় জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে জোটর খালের ওপর ও রেলের জমি ইজারা নিয়ে গড়ে তোলা নিজ নিজ ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকার ক্ষতি মেনে নিয়ে ভেঙে নিচ্ছে তারা।</p> <p>উপজেলা ডাক বাংলো মোড় এলাকার ব্যবসায়ী শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, রেলের জমি ৯৯ বছরের ইজারা নিয়ে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসা করে আসছি। খাল খননেন জন্য আমার পাকা ভবন ভেঙে খাল খননেন জায়গা করে দিয়েছি। সঠিকভাবে খাল খনন হলে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে আমরা কসলে মুক্তি পাব।</p> <p>অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল জলিল, নাছরিন, কামাল উদ্দীনসহ অনেকেই বলেন, প্রতি বছর ২/৩মাস পানিবন্ধী হয়ে থাকতে হয় আমাদের। খাল খননের দীর্ঘ দিনের দাবি আমাদের। খাল খনন প্রায় এক মাস আগে শুরু হয়েছে। কোথাও ৯ ফিট আবার কোথাও ১৫ফিট খনন করা হচ্ছে। সঠিকভাবে খাল খনন হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কাজের কার্য বিবরণী কোথাও টাঙানো হয়নি।</p> <p>সংশ্লিষ্ট কাজে দায়িত্বরত বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও শফিকুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারকে কার্য বিবরণী টাঙিয়ে দিতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে তথ্য দেখে নিতে পারেন।</p> <p>স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার কিসলু বলেন, ভৈরব নদী ভরাট হওয়ায় পার্শ্ববর্তী খালসমূহ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অধিকাংশ স্থানে গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর উপজেলা সদর বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমপি শেখ হেলাল উদ্দীনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জোটর খালের ওপরের প্রায় ২ শতাধিক স্থাপনা স্থানীয়রা ভেঙে নিয়ে জোটর খালের ৬ কিমি অংশ খনন কাজে সহায়তা করছে। সঠিক ভাবে নদী খাল খনন করা হলে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে এ অঞ্চরের মানুষ।</p>