<p>কুমিল্লা-৬ সদর আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি সমর্থক নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রতিপক্ষরা অন্তত ১০টি স্থানে গুলি ও ককটেল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। তাদের দাবি এ ঘটনায় বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। </p> <p>বিএনপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আজ সোমবার বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও আদর্শ সদর উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিএনপি প্রার্থী হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থনে মিছিল বের করা হলে নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের মিছিল চলাকালে সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এ সময় ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপ করে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী মুখলেছ গুলিবিদ্ধ হয়। এ ছাড়া ও এ সময় অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। নগরীরর ১৯নং ওয়ার্ডে কাজী ইকরাম ১৩নং ওয়ার্ডে জাবেদ, ২০নং ওয়ার্ডে কাজী মালেক, ২২নং ওয়ার্ডে পলাশ আহত হন। নগরীরর মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকায় মিছিল চলাকালে সন্ত্রাসীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান, ইকরাম, আলমগীর, নাহিদুজ্জামান নাহিদ, নোয়েল, সালাউদ্দিন রকি, রবিন, জহির আহত হয়। </p> <p>আমড়াতলী ইউনিয়নের ৩টি স্থানে হামলা করা হয়, এ সময় দোকান পাট ভাঙচুর করা হয়। দুতিয়ার দিঘীরপাড় ছেয়ার ভাঙচুর করে। আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজারে হাজী ইয়াছিনের মিছিলে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কুল মঞ্জু, আব্দুল হান্নান, তানজিল, যুনায়েদ বিল্লাল, জসিম, রেজাউল হক খান, রাকিবসহ অন্তত্য ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয় দক্ষিণ দূর্গাপুর ইউনিয়নের ধনপুর, বলারামপুর এলাকায় মোটরসাইকেল বহর নিয়ে হামলা করা হয় এতে নাঈম, ওয়াসিম, রায়হান আহত হয়। </p> <p>এদিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষে সমর্থকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। এক বিবৃতিতে বলেন নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেইং ফিল্ড-এর কথা বললেও গতকাল ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা বিএনপির শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় হামলা চালায়। তারা অভিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। </p> <p>তারা বলেন, হামলা মামলা সত্ত্বেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিএনপির পক্ষে মাঠে নামছে। গণজোয়ার দেখে তারা সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করে কুমিল্লাকে শান্তি ও সম্প্রীতির নগরী হিসেবে রাখার দাবি জানান।</p>