<p>নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল রবিবার একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রার্থীদের সকল প্রকার পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ও গেইট খুলে ফেলার নির্দেশ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দেওয়ার পরও আজ সোমবার কুমিল্লা ২ (হোমনা-তিতাস) আসনে প্রার্থীদের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p>আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে ঢাকা-হোমনা সড়কের তিতাস উপজেলার গোমতী সেতু থেকে বাতাকান্দি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পাঁচজন প্রার্থীর পোস্টার, ফেস্টুন ব্যানার ও গেইট দেখা গেছে। তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দিতে বর্তমান মহাজোটের সংসদ সদস্য মো. আমির হোসেন ভুইয়ার ফেস্টুন, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিমা আহমদ মেরী, বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এ কে এম ফজলুল হক মোল্লা ও মহাজোটের জেপি (মঞ্জু) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. জসিম উদ্দিনের গেইট এখনো রয়েছে। অপরদিকে তিতাস উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় রয়েছে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য সোহেব চৌধুরী তপন এবং শাহ আলম খন্দকারের লাগানো ফেস্টুন ও ব্যানার বিভিন্ন গাছে সাটানো আছে। ওইসব প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।</p> <p>ভিন্ন দলের ৪জন প্রার্থী তাদের নিজ খরচে সকল ফেস্টুন ও ব্যানার সরিয়ে নিয়েছেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা আমাদের পোস্টার, ফেস্টুন ব্যানার ও গেইট নিজ খরচে সরিয়ে নিয়েছি। সময় পার হবার  যারা এখনো তাদের পোস্টার, ফেস্টুন ব্যানার ও গেইট সরিয়ে নেয়নি। প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তা দেখার অপেক্ষায় আছি।</p> <p>তিতাস উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, গতকাল রবিবার প্রার্থীদের পোস্টার, ফেস্টুন ব্যানার ও গেইট সরিয়ে নেওয়ার কথা। তবে আমি নতুন আসছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের সাথে কথা বলে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আলোচনা করবো।</p> <p>কুমিল্লা ২ হোমনা-তিতাস) আসন এর সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রাশেদা আক্তার বলেন, আজকে জেলা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আসছেন। যে সকল প্রার্থীদের পোস্টার, ফেস্টুন ব্যানার ও গেইট সরিয়ে নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। </p>